১৭৫ জন হিলার নিয়ে ২০১১ সালের ২১ জানুয়ারি কসমিক হিলারের প্রথম ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয় রাজধানীর ভিক্টোরিয়া হোটেলের কনফারেন্স রুমে। প্রথম দিকে প্রত্যেক সপ্তাহে একদিন এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালিত হতো। সেই সাথে প্রত্যেকদিন রাত ১০ টা থেকে সাড়ে ১০ টা পর্যন্ত অংশগ্রহণকারী সবাই নিজ নিজ বাসায় থেকে পৃথিবীর কল্যাণের জন্য নিয়মিত প্রার্থনা করে তার রিপোর্ট পেশ করতেন।

মাঝখানে এই সম্মিলিত প্রার্থনা বন্ধ থাকলেও ২০২০ সালে বিশ্বব্যাপী করোনার ভয়াল থাবা শুরু হলে সে থেকে পরিত্রাণের লক্ষ্যে আবার এই সম্মিলিত প্রার্থনার প্রোগ্রাম শুরু হয়। এসময় অনলাইন মিটিং প্ল্যাটফর্ম জুমের মাধ্যমে বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্ত্ররাজ্য, কানাডা, ব্রাজিল, তুরস্ক, কুয়েত, কাতারসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে অসংখ্য পার্টিসিপেন্ট উক্ত সম্মিলিত প্রার্থনায় অংশগ্রহণ করতে থাকেন। ২৫ মার্চ থেকে ২৭ মে ২০২০ পর্যন্ত নিরবিচ্ছিন্নভাবে প্রত্যেকদিন রাত ৯ টায় করোনামুক্ত সুন্দর ও স্বাভাবিক পৃথিবীর জন্য এই সম্মিলিত প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হতো। ফলাফল হিসেবে করোনায় বাংলাদেশে অপেক্ষাকৃতভাবে অনেক কম মৃত্যু হার পরিলক্ষিত হয়। এসময় আরেক সাধক জনাব এম মিজানুর রহমান কসমিক হিলারস টিমের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। বর্তমানে প্রত্যেক বুধবার জুমের মাধ্যমে এই স্পেশাল জয়েন্ট হিলিং গ্রুপের সাপ্তাহিক ওয়ার্কশপ ও মেডিটেশনের প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *